দূতাবাসে জন্মনিবন্ধন আবেদন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধনের নিয়মাবলী
সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ দূতাবাস, মাদ্রিদে স্পেনে জন্মগ্রহণকৃত শিশুদের জন্মনিবন্ধন করা যাবে। এক্ষেত্রে প্রথমেই বাবা, মায়ের অনলাইন জন্মনিবন্ধন প্রয়োজন হয়, তাই বাবা মায়ের জন্মনিবন্ধন না করা থাকলে বাংলাদেশ থেকে করে আনতে হবে।
১। নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে হলে অনলাইনে http://bdris.gov.bd/br/application সাইটে আবেদন করতে হবে। এতে জন্মস্থান এবং বর্তমান ঠিকানা স্পেনের দিতে হবে, স্থায়ী ঠিকানা হবে বাংলাদেশের। জন্ম নিবন্ধন দূতাবাস থেকে নিতে হলে সংশ্লিষ্ট ঘরে টিক চিহ্ন দিয়ে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে জন্মনিবন্ধন আবেদনের সময় শিশুর স্পেনের জন্ম সনদ, বাবা মায়ের পাসপোর্ট/জন্ম সনদ কপি আপলোড করতে হবে (ফাইল গুলো ছোট হতে হবে)। অনলাইনে আবেদনের সময় অতি অবশ্যই বাংলাদেশের একটি মোবাইল নাম্বার ও ই মেইল এড্রেস দিয়ে দিতে হবে।
অনলাইনে আবেদন করার পর,
ক) উক্ত আবেদনের প্রিন্ট কপি ( আবেদনের নিচে স্পেনের মোবাইল নম্বর কলম দিয়ে লিখে দিতে হবে)
খ) বাবা-মায়ের পাসপোর্টের কপি,
গ) বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধনের কপি,
ঘ) আবেদনকারী শিশুর ছবি,
ঙ) শিশুর স্পেনিশ জন্ম সনদ, লিব্রেদো ফ্যামিলিয়া ইত্যাদির ফটোকপি
চ) ১ ইউরো দূতাবাসের একাউন্টে জমা দিয়ে তার রিসিট ( ব্যাংক ট্রান্সফারের জন্য দেখুন https://madrid.mofa.gov.bd/en/site/page/Consular-Fee) ইত্যাদি সহ
দূতাবাসে সরাসরি অথবা MRW কুরিয়ার যোগে জমা দিতে হবে। দূতাবাস যাবতীয় তথ্য যাচাই করে সনদ ইস্যু করবে।
২। জন্ম নিবন্ধন আবেদনের সময় কোন ক্রমেই নামের বাংলা বা ইংরেজি বানান, Nombre y apellidos, বাবা/মায়ের নাম, জন্মস্থান এবং বর্তমান ঠিকানা (দুটোই স্পেনের ঠিকানা হবে), স্থায়ী ঠিকানা (বাংলাদেশের) ইত্যাদি ভুল করা যাবে না। আবেদনে অবশ্যই আবেদনকারীর ইমেইল এড্রেস এবং বাংলাদেশের একটি মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন হয়ে গেলে সংশোধন অত্যন্ত জটিল কাজ।
৩। সনদ একবার ইস্যু হয়ে গেলে তা সংশোধনের জন্য http://bdris.gov.bd/br/correction সাইটে আবেদন করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন বাংলাদেশে করে থাকলে দূতাবাস থেকে সংশোধন করা যাবে না। যেখান থেকে জন্মসনদ ইস্যু হয়েছিল (দূতাবাস থেকে করে থাকলে দূতাবাস অথবা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন ) সেই অফিস সিলেক্ট করে সংশোধনের আবেদন করতে হবে এবং সেখান থেকেই সংশোধিত সনদ সংগ্রহ করতে হবে। সংশোধন আবেদন দাখিলের সময় উপযুক্ত প্রমাণাদি পিডিএফ ফাইলে আপলোড করে সংযুক্ত করতে হবে (স্পেনিশ জন্ম সনদ দূতাবাস থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে এবং ফাইলের সাইজ ছোট রেখে আপলোড করতে হবে)। সংশোধন আবেদন দাখিলের পর ইমেইলে এপ্লিকেশন আইডি আসবে। উক্ত আইডি সহ দাখিলকৃত আবেদন নিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসে যেয়ে আবেদনটি প্রথমেই রিসিভ করাতে হবে (এসময় জন্ম নিবন্ধনের সময় দেয়া বাংলাদেশের মোবাইলে ওটিপি কোড যাবে)। আবেদন রিসিভ হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনও, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সংলিষ্ট জেলার ডিডিএলজির এপ্রুভাল নিয়ে সংশোধিত জন্মসনদ দেয়া হবে।
৪। বার্সেলোনার আবেদনকারীগণ উপরোক্ত নিয়মে অথবা বার্সেলোনা কন্সুলার সার্ভিস চলাকালীন জন্মনিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন এবং MRW যোগে জন্ম সনদ পরবর্তীতে সংগ্রহ করতে পারবেন। MRW যোগে জন্ম সনদ আবেদন আগেই জমা দিয়ে থাকলে , বার্সেলোনায় কনসুলার সার্ভিস চলাকালীন মূল সনদ সংগ্রহ করা যাবে।
৫। যে কোন ব্যক্তি তার জন্ম নিবন্ধন নম্বর http://everify.bdris.gov.bd/ থেকে ভেরিফাই ও প্রিন্ট করতে পারবেন। এছাড়া যে কেউ এই সাইটে যেয়ে নিজের জন্ম নিবন্ধন সঠিক আছে কিনা বিশেষতঃ বাংলা/ইংরেজি নামের বানান, ঠিকানা ইত্যাদি যাচাই করে দেখতে পারেন। জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কিনা এটি এখান থেকে জানা যাবে। ই-পাসপোর্ট করতে হলে জন্মনিবন্ধন ও পাসপোর্টের সকল তথ্য একই হতে হবে, নামের বানা হুবহু একই হতে হবে। সেটি না হলে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করিয়ে নিতে হবে। তবে কারো ভোটার আইডি থাকলে ই-পাসপোর্টের জন্য জন্মনিবন্ধনের প্রয়োজন নেই।